সঠিকভাবে পরিচালনায় ব্যর্থ ও পদ্মা সেতুতে ধাক্কা দেওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে চলচলারত ‘ফেরি কাকলী’র ভারপ্রাপ্ত মাস্টার মো. বাদল হোসেন এবং হুইল সুকানি আব্দুর রশিদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) শুক্রবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। বিকেলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও ধাক্কা দেয় ফেরি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে ‘ফেরি কাকলী’ এ ধাক্কা দেয়।
বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, ফেরিটির পদ্মা সেতুর ১১ ও ১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু, সেটি নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে ফেরিটির বাইরের অংশের একটু ক্ষতি হয়। এ ছাড়া আর কিছু হয়নি। ধাক্কা লাগা অংশটি পানির স্তরের ওপরে থাকায় ফেরিতে পানি ওঠেনি। পদ্মা সেতুর পিলারেরও কোনো ক্ষতি হয়নি।
সাফায়েত আহমেদ আরও জানান, ধাক্কা লাগার পর ফেরিটি নিরাপদে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগেও তিনবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগে। এসব ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি), তদন্ত কমিটি গঠনসহ ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।