মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক করা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম গভীর কোমায় রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। কোনো কোনো গণমাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রচার হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেননি চিকিৎসকরা। রবিবার বিকালে বিমানের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে পাইলট নওশাদের মৃত্যুর খবর জানায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন খবর পাওয়া গেলে অবশ্যই গণমাধ্যমকে জানানো হবে। তাছাড়া পাইলট নওশাদ ইস্যুতে নিয়মিত হাসপাতালের বিফ্রিংয়ের আপডেট নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর নওশাদের ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে মেডিকেল টিম সিদ্ধান্ত নেবে।
বিমানের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাগপুরের হোপ হাসপাতালে কোমায় থাকা ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিকালি ডেড’। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে। কিন্তু পাইলটের আত্মীয়-স্বজন এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তারা নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানোর দাবি জানিয়েছেন। স্বজনদের এই দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত্যুর খবর জানতে পারিনি। ভারতের হাসপাতালের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেন। গত শনিবার রাতে তিনি কোমায় চলে যান। আকাশে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে নওশাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময়ে তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন।