দেশীয় গ্যাস কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে প্রিপেইড মিটার বসাতে সক্ষম বলে মনে করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে কনডেনসেটের পরিবর্তে পানি সরবরাহ সংক্রান্ত অনিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান। বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আলী আজগার, নুরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ রাখার জন্য সিএনজি স্টেশনগুলোতে রেশনিং করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস সরবরাহ ঠিক রাখতে হলে অপচয় রোধ করতে হবে। এজন্য প্রিপেইড মিটার চালু কররা জরুরি। তিনি বলেন, গ্যাস কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা রয়েছে। তাদের যে আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে, তাতে নিজস্ব অর্থায়নেই প্রিপেইড মিটার বসাতে পারবে। এজন্য কোন উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তার দরকার নেই। এটা করতে পারলে গ্যাস সাশ্রয় হবে। কমিটির এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে কনডেনসেটের পরিবর্তে পানি সরবরাহ সংক্রান্ত অনিয়ম সম্পর্কে আলোচনার কথা জানিয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, মন্ত্রণালয়কে আমরা বলেছি, দুদকের কাছ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন এনে অনিয়মের বিষয়টির সুরাহা করতে। দুদকের প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে গত ৩০ ডিসেম্বর কৈলাশটিলা এমএসটিই প্ল্যান থেকে রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্টে কনডেনসেটের পরিবর্তে পানি সরবরাহ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাকালে জানাগেছে, ওই দিন কনডেনসেট খালাসের সময় সাড়ে ৪ হাজার লিটার কনডেনসেটের পরিবর্তে প্রায় তিন হাজার ৬০০ লিটার পানি পাওয়া যায়। ওই ঘটনার পর তদন্ত শেষে কনডেনসেট বহনকারী লরির চালককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। লরি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। বিষয়টি বর্তমানে দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তব অগ্রগতি ও আর্থিক অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদন পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বাপেক্সের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদন পরবর্তী সভায় উপস্থাপন এবং পেট্রোবাংলার অধীন ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের বকেয়া আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।