ফাইভ-জি সংযোগকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ডিজিটাল মহাসড়ক হিসেবে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভ-জি’র উপর নির্ভর করেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তির ডিজিটাল মহাসড়ক তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হবে বলে আশা করছি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের অপরিহার্য চাহিদার কথা বিবেচনা করে এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফাইভ-জি সংযোগ প্রদানের কাজ শুরু করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করা: উদ্ভাবন ও গবেষণায় ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, উদ্ভাবনের মাধ্যমে চীন বিশ্বে বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। তাই আমাদেরকেও আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিক্ষা খাতের ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই মানব সম্পদ তৈরির কাজটি শুরু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিজিটাল শিক্ষা শুরু করলে আগামী দিনের দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা কঠিন কাজ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় উচ্চশিক্ষা স্তরে উদ্ভাবন ও গবেষণায় অনেক মনযোগী হতে হবে।
বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে ড্রাইভার বিহীন গাড়ি কিংবা কর্মীবিহীন কারখানা উন্নত বিশ্বের জন্য হবে এক আশীর্বাদ। কারণ তাদের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ ভাগ প্রবীণ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি তাদের মানব সম্পদের ঘাটতি পূরণ করবে। কাজেই এটি তাদের জন্য আনন্দের, কিন্তু আমাদের জন্য তা মোটেও সুখবর হতে পারে না। আমরা তাদের পথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে পারিনা। আমাদের পথ তাদের চাইতে আলাদা।
তিনি বলেন, দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করে তাদেরকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।