করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেওয়া বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি।
এতে সংক্রমণ আবারও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যরা।
শুক্রবার রাতে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভা শেষে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সুপারিশ করা হয়।
ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে দেশে সর্বশেষ কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল যা ১০ আগস্ট শেষ হয়। ১১ আগস্ট থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। সামনের সপ্তাহ থেকে পর্যটন কেন্দ্রও খুলে যাচ্ছে।
কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভা মনে করে, বিধিনিষেধ শিথিলতার ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা তাড়াহুড়ো করেছে। এর ফলে সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে অর্থনীতি আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে।’
‘লকডাউন আরও ১-২ সপ্তাহ চলমান রাখতে পারলে এর পুরোপুরি সুফল পাওয়া যেত’ বলে মনে করে কমিটি।
তার সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছে কমিটির সদস্যরা। আরও কিছুদিন সভা/সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান, পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
এছাড়া রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে শুধুমাত্র বিক্রি করা, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচল এবং হোম অফিসের সুযোগ রেখে অফিস চালু করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শের পাশাপাশি শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেও বলেছে কমিটি।
বাজারে যেসব মাস্ক বিক্রি হয়, সেখানে অন্তত তিন লেয়ারের সঠিক মাস্ক উৎপাদন ও বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য ওষুধ প্রশাসনকে তাগিদ দিয়েছেন কমিটি সদস্যরা।
অন্তঃসত্ত্বা ও দুগ্ধদানকারী নারীদের কভিড-১৯ টিকা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি বলছে, তাদের জন্য টিকা প্রদানের ব্যবস্থা আরও সহজ ও নিরাপদ করা উচিত। এ জন্য টিকা কেন্দ্র নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।