ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বেতাগী উপজেলার সরিষাবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাবাড়ি এলাকায় ও বামনা উপজেলার ডৌয়াতলায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলেন সাত বছর বয়সী মো. ইমামুল ও ৩৫ বছর বয়সী নান্না জমাদ্দার।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহীন জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বেড়িবাঁধ ভেঙে শিশু ইমামুল পানিতে পড়ে যায়। এক ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নান্না বাড়ির পাশের খালে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান।
ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার রাত ও বুধবার দুপুরের দিকে বরগুনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালীতে জোয়ারের সময় বুধবার ৩ দশমিক ৫৮ মিটার উচ্চতায় বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।
এ ছাড়া মঙ্গলবার সকালে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ও রাতে বিপদসীমার ১০৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়েছে।
বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কায়ছার আলম বলেন, ‘আগে থেকেই বরগুনায় ২৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জোয়ারের চাপে এসব বাঁধ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। আমরা এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য কাজ শুরু করেছি।’