উত্তেজনার মধ্যেই নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সোমবার দুই নেতার মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকটি হয়। এ সময় দুই নেতাকে আন্তরিক পরিবেশে কথা বলতে দেখা গেছে। বৈঠকে বাইডেনকে ‘পুরনো বন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দেন শি। তিনি বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ইতিবাচক ধারায় চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পরিচালনা করতে চাই।
ভিডিও কনফারেন্সের অপরপ্রান্তে হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমের কনফারেন্স টেবিলে বসে বাইডেন বলেন, আমার হয়তো আরও আনুষ্ঠানিক রেওয়াজ মেনে বৈঠক শুরু করা উচিত ছিল। কিন্তু আপনি আর আমি তো কখনই নিজেদের মধ্যে অত আনুষ্ঠানিকতায় যাইনি। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত ছবিতে শিকে দেখা যাচ্ছিল বড় একটি স্ক্রিনে। আর টেবিলে বসা বাইডেনের মুখে ছিল চওড়া হাসি। দুই নেতার আলোচনায় উত্তেজনা প্রশমনে দুদেশের যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। তাইওয়ানে বেইজিংয়ের আধিপত্য, বাণিজ্য ও মানবাধিকার ইস্যুতে বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এ বৈঠক হলো।
বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক কর্মকাণ্ড ঘিরে বেইজি-ওয়াশিংটন বিরোধ ও উত্তেজনার মধ্যে দুই নেতার এ বৈঠকের ওপর নজর ছিল গোটা বিশ্বের। বাইডেন ও শির মধ্যে সর্বশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর কথা হয়েছিল, দুই নেতার দেড় ঘণ্টার ওই কথোপকথনে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রাধান্য পেয়েছিল। তবে বাইডেন গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এটিই প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক। বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, আমাদের দুদেশের উচিত যোগাযোগ বাড়ানো এবং চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা করা।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা মহামারির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সুসম্পর্ক জরুরি। ‘মানবাধিকার বাস করে বিশ্বগ্রামে। আমরা একসঙ্গে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যোগাযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়াবে’—যোগ করেন শি জিনপিং।শিকে বাইডেন বলেন, আপনার সঙ্গে আগেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে। সব দেশকেই এ রাস্তায় একই নিয়ম মানতে হয়।