প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য প্রকল্প নিয়েছেন। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসার গন্ধবপুর প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক এবং হিমালয় কোষের ডাউনস্ট্রিমে থাকায় পানির খুব একটা সমস্যা নেই। তবে আমরা এখনো পরিপূর্ণভাবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে পারছি না। গ্রাম থেকে শহরে আমাদের অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ঢাকাবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য অসংখ্য প্রকল্প নিয়েছেন। শতভাগ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
একইভাবে পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্বে ৯৮ শতাংশ মানুষ পানির আওতায় এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কতটা সক্ষম। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয় সারাবিশ্বেই এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জিওলজিকালভাবেও আমাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যা বিশ্বের অনেক দেশেরই নেই। আমরা রুরাল এরিয়ার সব মানুষের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য কাজ করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রুপান্তরের জন্য কাজ করছি। আমরা কিন্তু শুধু ট্র্যাডিশনাল এগ্রিকালচারের ওপর নির্ভর করতে পারি না, কৃষিতে প্রযুক্তি আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। আমাদের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য শুধু কৃষিখাতই যথেষ্ট নয়। আমাদের ব্যাপক শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে। অনেক ইন্ডাস্ট্রি এরই মধ্যে ভালো অবস্থানে আছে, এছাড়াও একশ ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে। যেখানে অসংখ্য শিল্পায়ন গড়ে তোলা হবে। সেক্ষেত্রে পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই আমরা ভাবছি শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পানি কীভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্ডারগ্রাউন্ডের পানি কাজে লাগাতে পারছি না। কারণ সেখানে অসংখ্য বর্জ্য রয়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ব্যবহার উপযুক্ত নয়। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা সিটিতে অসংখ্য প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং সামনে আরও প্রকল্প আসছে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির স্বল্পতা রয়েছে। কারণ সেখানে লবনাক্ত পানিসহ অসংখ্য সমস্যা রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে সেখানে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। সেজন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য সারাদেশে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির জন্য চেষ্টা করছি, এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঢাকা ওয়াসা একটি রোল মডেল। এটা আমরা বলছি না, বলছে বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক। ঢাকা ওয়াসা সারাবিশ্বে বৃহৎ পানি সরবরাহকারী সংস্থা। ঢাকা ওয়াসা দুই কোটি মানুষকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে। আমাদের ভালো ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ লোকবল রয়েছে। সেজন্যই আমরা এ অবস্থানে আছি।