ঢাকার বির্তকিত জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহার ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। ঘুষ-দুর্নীতি স্বজন প্রীতি বদলী ও তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাব রেজিস্ট্রার পদে চাকুরী গ্রহনের পর তিনি সিনিয়রদের অতিক্রম করে দেশের লোভনীয় অফিসগুলোতে চাকুরী করে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দাখিল করা এক গনস্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে; জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহার, দোহার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি করে ঘুষের টাকা সহ যৌথ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।
রূপগঞ্জের সাব রেজিস্ট্রার থাকাকালীনও তিনি অনিয়মের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তিনি সরকার বদলানোর সাথে সাথে নিজের ভোল্টও পাল্টে ফেলতে বেশ পারদর্শী। তিনি বি এন পির আমলে বিএনপির লোক ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় ভোল্ট পাল্টে ব্রাক্ষনবাড়ীয়ার গৃহবধু ও পাঁক্কা আওয়ামী লীগার হয়ে যান। ফলে দুর্নীতির দূর্গ গড়তে তার কোন সমস্যা হচ্ছে না। তিনি জেলা রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পেয়েই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ষ্টেশন নারায়নগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করে। তারপরই ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার।
ঢাকায় যোগদান করে গত ২ বছরে তিনি তার দেড় শতাধিক বদলী, পদোন্নতি, নিয়োগ, প্রেষণে বদলী করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহার ঢাকা যোগদান করেই বদলী বাণিজ্য শুরু করেছেন তিনি। অতি সম্প্রতি তিনি প্রায় ৪০ জন মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারী বদলী সহ ১১ জন নকল নবীসকে বিভিন্ন অফিস থেকে ঢাকা রেকর্র্ডে প্রেষণে বদলী করেছেন। এ বদলীতে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সাবেক প্রধান সহকারী হালিমা ও সহকারী কাম টাইপিষ্ট শরীফের মাধ্যমে এ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বদলী বাণিজ্য করেছেন। প্রতিটি বদলীর সময় হালিমা ও শরীফকে কমপ্লেক্সে দেখা যায়। জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন্নাহার বলেন বর্তমান প্রধান সহকারী ও টাইপিষ্ট কাজ বুঝে না। তাই হালিমাকে ফেনী থেকে ঢাকায় ও শরীফকে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় এনে বদলীর কাজগুলি করতে হয়েছে। ওদিকে দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রার দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে ঢাকার ধানমন্ডিতে গড়ে তুলেছেন বিলাস বহুল বাড়ী। তার কেরাণীগঞ্জের শাক্তা গ্রামের বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন প্রাসাদপম বাড়ী। তার ভাই ইয়ামিনের দলিল বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ঢাকা জেলার কয়েকজন সাব রেজিস্ট্রার। সাবিকুন্নাহারের ভাই ইয়ামিন একেক দিন ২০/৩০ টি জাল জালিয়াতির দলিল নিয়ে সাব রেজিস্ট্রারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রেজিস্ট্র্রি করে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।