হেফাজত ইসলামের বিভিন্ন সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি থানাসহ মোট ২৭টি পয়েন্টে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। থানা গুলোর ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের সামনে বালির বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি জনবল বৃদ্ধি ও এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। থানাগুলোর সঙ্গে সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
থানাগুলো হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা, বিজয়নগর, নবীনগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর, কসবা, আখাউড়া ও বাঞ্ছারামপুর থানা।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ১নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ২নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও আখাউড়া উপজেলার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ি, নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্র ও বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্র, আশুগঞ্জ সার কারখানা পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (পিডিবি) পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা পুলিশ ক্যাম্প, নবীনগর উপজেলার শিবপুর পুলিশ ক্যাম্প ও ছলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প, বিজয়নগর উপজেলার চম্পনগর পুলিশ ক্যাম্প, জেলা পুলিশ লাইন্সে ৪টি এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ১ টিসহ মোট ২৭টি এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
নিরাপত্তা পোস্ট গুলোতে আধুনিক ও ভারি অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পে ইতোমধ্যেই জনবল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে। অপ্রত্যাশিত যে কোন হামলা বা সহিংস ঘটনা এড়াতে ঊর্ধ্বতন অফিসাররা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। সকল পুলিশি স্থাপনা গুলোতে বালির বস্তা ফেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।