আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জনগণের আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগ করলেন পেরুর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ অ্যাসেটে। গত রোববার এক টুইটে এলিজাবেথ নিশ্চিত করেছেন, গত মাসে তিনি করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। জনগণের আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত ‘গুরুতর ভুল’ ছিল উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেছেন, তিনি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ আর নেবেন না।
পেরুতে জনসাধারণের আগে ভ্যাকসিন নেওয়ায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দ্বিতীয় ঘটনা এটি। গত সপ্তাহেই দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিলার মাজেতি একই কারণ পদ ছেড়েছেন। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস মহামারি। সোয়া তিন কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে এপর্যন্ত ১২ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন অন্তত ৪৩ হাজার ৭০০ জন।
সেখানকার হাসপাতালগুলোতে উপচেপড়া রোগীর ভিড়। এ অবস্থায় মাত্র তিন লাখ ডোজ হাতে নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছে পেরু। এর মধ্যেই অনেক শীর্ষ নেতা নিয়ম বহির্ভূতভাবে আগেভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন খবর প্রকাশের পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে।
এই কেলেঙ্কারিতেই পদ হারিয়েছেন পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা। তিনি গত অক্টোবরে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই ‘নৈতিকভাবে অযোগ্য’ অভিযোগে অভিশংসনের শিকার হন ৫৭ বছর বয়সী এ নেতা। পেরুর গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জনগেণের আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়ে ভিজকারাসহ অন্য অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জোরাইদা আভালোস।
সাবেক প্রেসিডেন্ট অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী ট্রায়ালের অংশ হিসেবেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নীতিতে এ ঘটনা প্রকাশ করা হয়নি বলেও দাবি করেছেন ভিজকারা। তবে পেরুতে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন ট্রায়াল পরিচালনাকারী কায়েতানো হেরেদিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গত রোববার সাবেক প্রেসিডেন্টের এই দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছে।