টিকটক মডেল বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নারী পাচারের অভিযোগ আশরাফুল ইসলাম ওরফে রাফি, তার স্ত্রী ও দুই ভাগ্নেকে আটক করেছে র্যাব। র্যাব জনিয়েছে, আটক আশরাফুল নারী পাচার চক্রের মূলহোতা।
জানা গেছে, রোববার ভোরে আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার ৬নং সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়াতে অভিযান চালায় র্যাব। আশরাফুল ওই গ্রামের আয়নুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, ঢাকা থেকে র্যাবের একটি বিশেষ টিম আশরাফুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার স্ত্রী ও দুই ভাগ্নেকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঝিনাইদহ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে আশরাফুলকে আটক করা হয়। আশরাফুলের স্ত্রীর নাম বন্যা খাতুন ও তার দুই ভাগ্নে অনিক ও রনি।
আশরাফুলের বাবা আয়নুদ্দিন মন্ডল জানান, ঈদের আগে আশরাফুল ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে আসার পর গত ২০ মে পুলিশ ঝিনাইদহ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যায়। তিনি ভারতের নাগরিক হিসাবে বেঙ্গালুরে ১২ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।
এদিকে ভোরের অভিযানের পর সকাল ৯টার দিকে আশরাফুলেরে বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় র্যাবের বিশেষ টিম। এ সময় আশরাফুলের বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও একটি পেনড্রাইভ পাওয়া যায় বলে জানান নাদপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্প ৬ এর এক ডিউটি অফিসার জানান, শৈলকুপাতে র্যাবের বিশেষ একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তবে এ অভিযাতে কি হয়েছে তা তারা বলতে পারছেন না।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, নাদপাড়া গ্রামের আশরাফুল নামের ভারতফেরত এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছিল। রোববার ভোরে র্যাবের একটি টিম কোয়রেন্টাইন সেন্টার থেকে তাকে নিয়ে গেছে।