বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

মাদরাসায় যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে : হানিফ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১
  • ২৪৬ পাঠক পড়েছে

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষার বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের উত্তরপত্র অন্য ধারার শিক্ষকদের মাধ্যমে মূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছে একটি সংসদীয় কমিটি। সংসদের সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত কমিটির গত বৃহস্পতিবারের  সভায় এ সুপারিশ করা হয়। নিয়মানুযায়ী সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

এ প্রসঙ্গে কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘বিষয়টি আলোচনায় এসেছে কারণ দেখা যাচ্ছে দাখিলে এসব বিষয়ে ভালো করা অনেক শিক্ষার্থী পরে এসব বিষয়ে ভালো করছে না। অর্থাৎ তাদের মধ্যে দুর্বলতা থেকে যাচ্ছে। অনেক সংসদ সদস্যই এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সে কারণে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, মনে হচ্ছে একই ধারার শিক্ষকরা সবাই ঠিকমত শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখতে পারছেন না। দাখিল পাস করেই উচ্চ শিক্ষার দিকে যায় শিক্ষার্থীরা এবং পরবর্তীতে চাকরির জন্য অনেক পরীক্ষায় তাদের অংশ নিতে হয়।’

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘এখানে সঠিক মূল্যায়ন হলে পরে আর তাদের সমস্যায় পড়তে হবে না বলেই আমরা চাই, তারা এসব বিষয়ে যথাযথ যোগ্যতা অর্জন করুক এবং সেভাবেই মূল্যায়ন হোক। কিন্তু এসব বিষয়ে যোগ্য শিক্ষকেরও

সংকট আছে। আবার অনেকের মধ্যে অতিরিক্ত নাম্বার দেয়ার প্রবণতাও আছে। অন্য ধারার শিক্ষক দিয়ে মূল্যায়ন হলে এসব সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করেছে কমিটি।’

কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষার জন্য সরকার অনেক টাকা খরচ করে কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা দেখতে পাই না। তাদের শিক্ষার গুণগতমান প্রত্যাশিত মাত্রায় অর্জিত হয় না। আলিয়া মাধ্যম থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের আমরা গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে ভূমিকা রাখতে দেখি না। এ কারণেই আমরা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের খাতা অন্য কোন মাধ্যমের শিক্ষকদের মূল্যায়ন করার সুপারিশ করেছি। এটা করা গেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা চাপ থাকবে এবং তারা নিজেদের গুণগত মান উন্নত করার চেষ্টা করবে।

তিনি আরো বলেন, ‘মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক শিক্ষকদের মধ্যে নিজেদের চাকরির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের পাস করানোর প্রবণতা দেখা যায়। আমাদের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে এই সুযোগ তারা পাবে না।’

তবে মাদরাসা শিক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, শিক্ষক নিয়ে সংকট গত কয়েক বছরে কেটে যাওয়ায় এসব বিষয়ের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য মাদরাসা শিক্ষকরাই যথেষ্ট।

নোয়াখালীর হাতিয়ার হাজী ফাজিল আহমদ দাখিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বিএসসি কিংবা এমএসসি পাশ করা শিক্ষকরা অংক বা ইংরেজির মতো বিষয়গুলো পড়ান এখন। এ বছর করোনার মধ্যেও আমরা অংক ও ইংরেজি বিষয়ে আলাদা করেও পড়ানোর ব্যবস্থা করেছি শিক্ষার্থীদের। এখন শিক্ষকরাও মানসম্পন্ন। তাই অন্য ধারার শিক্ষকদের দিয়ে খাতা মূল্যায়নের আর দরকার আছে বলে মনে হয় না।

কুমিল্লা সদর উপজেলার রঘুরামপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার প্রধান শিক্ষক অলি আহমদ বলছেন, ‘মাদরাসা শিক্ষার একটা স্বকীয়তা আছে সেটা বিবেচনায় নিয়েই চিন্তা করা দরকার। এখন অনেক ভালো মানের শিক্ষক মাদরাসাগুলোতে বাংলা, ইংরেজি ও অংক পড়ান। আমাদের মাদরাসা থেকে পাশ করে অনেক শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন ও নিচ্ছেন। সরকারী চাকরিও করছে অনেকে। হয়তো হাতে গোনা কিছু শিক্ষক নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

তিনি আরো বলেন, সংসদীয় কমিটির উদ্বেগের বিষয়টি বোঝা যায়। কিন্তু এখন তো প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিকের মতোই দাখিলের শিক্ষকদের সরকারী নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করে নিবন্ধিত হয়ে চাকরির আবেদন করতে হয়।

এ নিয়ে মাদরাসা বিষয়ে অভিজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, “মাদরাসায় বাংলা, অংক ও ইংরেজি যারা পড়ান তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা। তারা কিন্তু মাদরাসায় পড়া নন। কোনো কোনো মাদরাসায় হয়তো সুনির্দিষ্ট কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু ঢালাও ভাবে অন্য ধারার শিক্ষকদের দিয়ে এসব বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়নের চিন্তা করলে সেটি নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এগুলো অপ্রয়োজনীয় চিন্তা। বরং ব্যবস্থাপনা আরো স্বচ্ছ করে অধিকতর যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করাটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।” সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

 

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580