দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ) দুই সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ২টায় রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্তকৃতরা হলেন-সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।
আতাউর রহমান বলেন, ‘তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সাময়িক বরখাস্ত সংক্রান্ত কোনো লিখিত আদেশ এখন পর্যন্ত রংপুর সিআইডি কার্যালয়ে পৌঁছায়নি। এটি ঢাকা থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সিআইডির মা ও ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা চাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার রংপুর জোন সিআইডির সিনিয়র এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিআইডি হেডকোয়ার্টারে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে রংপুর জোন সিআইডি।’
তিনি বলেন, ‘জড়িত ৩ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিনাজপুরের বাশেরহাট থেকে তাদের আটক করা হয়। পরদিন তাদের অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে আদালতে তোলা হয়।পরে দিনাজপুর আমলি আদালতের-৪ এর বিচারক শিশির কুমার বসু তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার তদন্তভার দিনাজপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় এএসপিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লুৎফর রহমানের ভাই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় অপহরণ মামলা করেছেন।
মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির সোহাগ, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক, মাইক্রোবাস চালক হাবিব ও নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার এনামুল হকের ছেলে ফসিহউল আলম পলাশসহ ৯ জনের নাম রয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত তিন থেকে চারজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। দায়ের করা এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।