শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

মৌলভী খাজা আব্দুল্লাহ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট দূর্নীতি -২

বিশেষ সংবাদদাতা:
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৬৭ পাঠক পড়েছে

মৌলভী খাজা আব্দুল্লাহ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট দূর্নীতি -২

সায়ীদ হানিফ ওয়ায়েজ গংদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা জালিয়াতিসহ ব্যাপক অভিযোগ

ঢাকার নবাব বংশের এক উজ্ঝল নক্ষত্রের নাম খাজা মৌলভী আব্দুল্লাহ। সমাজ বিনির্মাণে খাজা আব্দুল্লাহর রয়েছে ঐতিহাসিক অবদান। তার নামে প্রতিষ্ঠিত খাজা মৌলভী আব্দুল্লাহ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর সে সব দূর্নীতির কালো অধ্যায় ধামা চাপা দিতে আরো বিস্তর জাল জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ট্রাস্টের সভাপতি খাজা মোঃ সায়ীদ, খাজা মোঃ হানিফ, খাজা ওয়ায়েজ ও খাজা মোঃ রাসেল গংদের বিরুদ্ধে। পুরানা ঢাকার নবাব বাড়ী এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে এসব অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাগেছে।

জানা যায়, নানা ছল চাতুরী ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে খাজা মোঃ সায়ীদ, খাজা মোঃ হানিফ, খাজা ওয়ায়েজ ও খাজা মোঃ রাসেল গং মৌলভী খাজা আব্দুল্লাহ ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের কোটি টাকা আত্মসাতের পর তাদের চুরির কাহিনী আড়াল করতে তারা রাতের অন্ধকারে তারা সম্প্রতি ট্রাস্টের সাজানো নির্বাচন করার চেষ্টা করেন। সেখানে অর্ধেকেরই বেশী ভোটার তারা ভূয়া তৈরী করে। এ সকল ভূয়া ভোটারের সাহায্যে তারা পার পাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নবাব বংশের সাহসী কিছু মানুষের পদক্ষেপের কারণে সে নির্বাচন স্থগিত করতে বাধ্য হয় । ভূয়া ভোটার ও জালজালিয়াতির অভিয়োগ সামনে আসায় নির্বাচন স্থগিত করে খাজা জনিকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

খাজা জনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের একজন নেতা। তিনি জানান, ভোটে নবাব বংশের বাইরে অনেককে সদস্য করা হযেছে এমন অভিযোগসহ নানা দূনীতির খবর আমরা শুনেছি। আমাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। সবার কথা শুনবো। এর পর একটি রিপোর্ট আমরা প্রদান করবো। এ বিষয়ে নবাব পরিবারের সদস্য হিসেবে তার অনুভূতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত বেদনার।

নবাবদের অনেক কিছুই এখন নেই এটা সত্যি। যা রয়েছে তা হচ্ছে এ বংশের সম্মান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দেশের সমাজ বিনির্মাণ শিক্ষা সংস্কৃতিতে পৃষ্ঠ পোষকতায় আমাদের ঐতিহ্যই আামদের অহংকার। আমাদেরই অধস্তন কোন পুরুষ সামান্য কটি টাকা চুরি করতে ফন্দি ফিকির করে চলেছে এটা অত্যন্ত বেদনার। খাজা তানজিম আরজু। একজন বেনিফিশিয়ারি। তারা বাবা কে. এম আরজু ছিলেন এ ট্রাস্টের একজন আজীবন সদস্য। তিনি বলেন, দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে এরা রাত ৩টার সময় ইলেকশন করার চেষ্টা করেছে। একটি ট্রাস্টের নির্বাচন হবে দিনের আলোতে। সবার খুশির ব্যাপার এটি। ভাবুন, কতটা নীচ এবং নির্লজ্য হলে এরা রাতের আঁধারে নির্বাচনের চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনে কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারি খাজা মারগুর হাসান বলেন, যা হয়েছে এটা অত্যান্ত খারাপ হয়েছে। এটা কাম্য নয়। নির্বাচন আবার হবে। তখন দেখা যাবে । তিনি তাদের বংশের ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বার বার বলার চেষ্টা করেন যা ঘটেছে এটা অকল্পনীয় ১৯৬২ সালে ট্রাস্ট গঠনের পর এমন ঘটনা কেউ দেখেনি। এমনকি কল্পনাও করেনি। উল্ল্যেখ্য, এই ট্রাস্টের সভাপতি সেক্রেটারি ও ট্রেজারার মিলে হাই কোর্টের রায় নিজেদের পক্ষে আনার কথা বলে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। ইসলামী ব্যাংকে থাকা ট্রাস্টের এফডিআর ভাঙতে গিয়ে এ প্রতারক চক্র ট্রাস্টের বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে রেজুলেশন নিয়েছে।

যেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা হয়েছে হাই কোর্টের ১০৮৮১/১২ মামলাটির রায় আমাদের পক্ষে আনতে ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। সে জন্য ইসলামী ব্যাংকের ২৫ লাখ টাকার এফডিআরটি ভাঙানো হয়েছে। আবার সেখান থেকে এডভোকেটকে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। সেই ২০ লাখ টাকা মৌলভী খাজা আব্দুল্লাহ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ভাউচার নং ৫৯৮ এ এডভোকেটকে প্রদান করা হয়েছে মর্মে দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোন এডভোকেটকে এ টাকা দেয়া হয়েছে তা উল্ল্যেখ করা হয়নি। আবার সে ভাউচারে গ্রহীতা হিসেবে কারো স্বাক্ষরও নেই। এ ছাড়া বিভিন্ন খাত থেকে আয় হওয়া আরো কোটি কোটি টাকা দূর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। এমন সব অভিযোগের সরেজমিন তদন্তে দৈনিক আজকের সংবাদের হাতে আরো অনেক তথ্য আসতে শুরু করেছ্।ে

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580