রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে কলেজছাত্রীর মরদেহ ফেলে পালিয়েছেন দুই যুবক। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়।
নিহত কলেজ ছাত্রীর নাম রুবাইয়া ইসলাম রিমু। তিনি নীলফামারী জলঢাকার কচুকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিমু (২০) নামের ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রিমু নিজ বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী টেঙ্গনমারী বাজারে প্রাইভেট পড়াতেন। সেখানে যাতায়াতের সময় রিমুকে প্রতিদিন উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় কচুকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৪)। ঘটনাটি রিমু তার বাবা ও বড়ভাইকে জানালে বড়ভাই ফয়সালকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিমুকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন ফয়সাল।
সোমবার সকাল ১১ দিকে প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল ও একই এলাকার জাহিদুল হোসেন মাস্টারের ছেলে রিজভী (২৪) জোর করে রিমুকে তাদের মোটরসাইকেলে জলঢাকার রাজারহাট বাজারের নিয়ে যায়। পরে বাজারের অদূরে একটি ফাঁকা ব্রিজের কাছে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা তাদের আটকে রিমুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য করেন।
পরে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে রিমুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যায় রিমুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে লিফটে রিমু মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হলে লাশ ফেলে পালিয়ে যান ওই দুই যুবক।
রিমুর বাবা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আমার মেয়েকে প্রতিদিনই ফয়সাল ও রিজভী উত্ত্যক্ত করতো। তাদের শাসন করায় ক্ষোভে পরিকল্পিতভাবে রিমুকে হত্যা করেছে তারা।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, নিহতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশের ময়নাতদন্তসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে।