শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

রূপসার বাগমারা দারুস সালাম জামে মসজিদের তহবিলের ৪ কোটি টাকা আত্মসাত ॥ দেখার কেউ নেই

নিউজ ডেক্স:
  • প্রকাশিত সময় : রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১
  • ১৬৩৯ পাঠক পড়েছে

রূপসা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার বাগমারা গরুর হাটস্থ দারুস সালাম জামে মসজিদের সভাপতি মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে মসজিদ ফান্ডের ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রেলের জমি দখল করে অবৈধ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। অন্যের জমি জবর দখলের সীমাহীন অভিযোগও আছে। জানাযায় ১৯৯৯ সালে মসজিদের ইমাম মাওঃ আব্দুল কুদ্দস মসজিদ কে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানানোর বিরোধিতা করায় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন নানা কৌশল অবলম্বন করে তাকে মসজিদ থেকে বিতাড়িত করে। তারপর অবাধে শুরু করে মসজিদ বানিজ্য। প্রতিমাসে মসজিদের বিভিন্ন খাত থেকে আনুমানিক আয় দুই লাখ টাকা। মসজিদের সামনে রেলের জমিতে ২০টি পাকা ঘর নির্মান করা হয়েছে। প্রতিটি দোকান থেকে ৫ হাজার টাকা করে ২০টি দোকান থেকে ১ লক্ষ টাকা। কবরস্তানে প্রতিমাসে কম হলেও ২০ টি দাফন সম্পন্ন হয়। প্রতিটি কবর থেকে নেয়া হয় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। সেমতে গড় আয় ৬০ হাজার টাকা। প্রতিমাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫/১০ টাকা করে এক হাজার দোকান থেকে আনুমানিক ৭/৮ হাজার এবং প্রতি শুক্রবারের কালেকশন হয় ২/৩ হাজার টাকা। সেমতে আরো ৬/৭ হাজার টাকা। সব মিলেয়ে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা মসজিদের স্থায়ী আয় হয়। প্রতি মাসে খরচ হয় ইমাম-মোয়াজ্জেমের বেতন ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা। অবশিষ্ট থাকে ১লাখ ৭০ হাজার টাকা। গত ২১ বছরে যার পরিমান দাঁড়ায় ৪ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার কোন হদিস মিলছেনা। গত ২১ বছরে কোনো দিন মসজিদে হিসাব দেয়নি। মসজিদ ঘরেরও তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সংগত কারনে মুসল্লীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। মসজিদের এই ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী মহিউদ্দিন বাগমারা গ্রামের মরহুম মিনহাজ উদ্দিন এর জ্যেষ্ঠ পুত্র। স্থানীয় প্রভাবশালী ও বিএনপি নেতা বিধায় তিনি সবকিছুই ড্যামকেয়ার ভাব দেখিয়ে থাকেন। বিষয়টি স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে সম্প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হলে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাদেরকে বিভিন্ন উপটোকন দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে বিষয়টি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580