বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

লঞ্চ মালিকের দাবি, যাত্রীদের থেকে আগুন লেগেছে

ঝালকাঠি প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩০৬ পাঠক পড়েছে

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জ‌নের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়েছে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ। ব‌রিশাল শে‌রে বাংলা মে‌ডি‌ক্যাল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে অন্তত ৭০ জন ভ‌র্তি হ‌য়ে‌ছেন। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছে।

এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক মো. হাম জামাল দাবি করেছেন যে, ‘যাত্রীদের থেকে আগুন লেগেছে। যার সূত্রপাত দোতলা থেকে হয়েছে। এরপর তিন তলায় ছড়িয়ে পড়েছে। যার কারণে প্রাণহানির ঘটনা বেশি হয়েছে।’

ইঞ্জিন থেকে আগুন লাগার বিষয় নাকচ করে দিয়ে হাম জামাল বলেছেন, ‘মাসখানেক আগে নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর চারটি ট্রিপ ঢাকা-বরগুনা চলাচল করেছে।মালিক দাবি করেন, লঞ্চে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতির মেয়াদ আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত আছে। তিনি বলেছেন, অভিযান-১০ এর যাত্রী ধারন ক্ষমতা ৯৫০ জন।’

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে দিকে সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুন লাগে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। লঞ্চের যাত্রী সোলাইমান আকন বলেন, ‘হঠাৎ বিকট শব্দে লঞ্চে আগুন ধরে যায়। লঞ্চের পেছনের অংশ থেকে তৃতীয় তলার সামনে পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’

সাইদুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই লঞ্চ থেকে নদীতে লাফ দেন। এই লঞ্চে ৫ শতাধিক যাত্রী ছিল বলে জানান কেবিন বয় ইয়াসিন। তিনি বলেন, ‘ওপরে থাকা বেশির ভাগ যাত্রী নদীতে লাফ দিয়েছে। যারা ঘুমিয়ে ছিল তারা সবাই মারা গেছে।’

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক জানান, ৯৫ জনের বেশি দগ্ধ যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল মেডিক্যালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত দগ্ধ আট শিশুসহ ৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580