সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিপুর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা-লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় প্রধান আসামি শহিদুল ইসলামকে (স্বাধীন মেম্বার) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই, সিলেট)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান। তিনি জানান, শুক্রবার রাত ১.৩০ মিনিটে স্বাধীন মেম্বারকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮টি হিন্দুবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সব বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার লুট হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এই মামলায় ৫০ নামাংকিতসহ ১৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। অন্য মামলাটি করেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম। পুলিশের মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়নের সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে।
শহীদুল ইসলাম স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তবে স্বাধীন মিয়া যুবলীগের কেউ নয় বলে জানিয়েছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা ১৭ মার্চ বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাংচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সকাল ৯ টায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এর আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এসময় ধর্মীয় উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।