স্পোর্টস ডেস্ক
কিংবদন্তির লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের গর্বের এক রেকর্ড ভেঙে দিলেন রশিদ খান। একবিংশ শতাব্দীতে এক টেস্টে সর্বোচ্চ ৯৮ ওভার বল করার রেকর্ড ছিল অজি স্পিনার ওয়ার্নের। আর আবুধাবিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের দুই ইনিংসে আফগান তারকা রশিদ খান বল করলেন ৯৯.২ ওভার।
ব্যাট হাতে শেষ দিনে দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস ও ডোনাল্ড টিরিপানো। ইনিংস হারের মুখে থাকা দলকে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১০৮ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়া করে ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা আনলো আফগানিস্তান।
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানের ৫৪৫ রানের জবাবে মাত্র ২৮৭ রান করে ফলোঅনে পড়ে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও জলদি উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে তারা। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক উইলিয়ামস। নবম উইকেটে হাল ধরেন ডোনাল্ড টিরিপানো।
৭ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে রোববার দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। উইলিয়ামস ও টিরিপানো দৃঢ় ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশন শেষ করেন। লাঞ্চ বিরতির আগে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় থাকা টিরিপানোকে ফেরান রশিদ খান। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার আগে ২৫৮ বলে ৯৫ রানের ইনিংসটিতে ১৬ চার হাঁকান এই ওপেনার।
মাঠে নেমে প্রথম ৩৩ বলেও রানের খাতা খুলেননি ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর আমির হামজার এক ওভারে মারেন চার বাউন্ডারি। বাঁ হাতি এই স্পিনারের পরের ওভারেই ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারের প্রথম বলেই ভিক্টর নিয়াউচিকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানেন রশিদ খান। চার নম্বরে নেমে ১৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামস। ৩০৯ বলের ইনিংসে ১৩ চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে একাই ৭ উইকেট নেন রশিদ খান। টেস্ট ক্যারিয়ারে যা তার ইনিংস সেরা বোলিং। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া এই লেগ স্পিনার দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট ম্যাচে পেলেন ১০ উইকেট। একটি করে উইকেট পান শিরজাদ, আমির হামজা ও জাভেদ আহমাদি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২.৫ ওভার বল করেন রশিদ। এতে তার ১৭টি মেডেন ছিল। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ওভার বোরিংয়ের রেকর্ডটি লঙ্কান তারকা মুত্তিয়া মুরালিধরনের । ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে দুই ইনিংসে মোট ১১৩.৫ ওভার বল করেন এ লঙ্কান অফস্পিনার। তালিকায় রশিদ খানের কীর্তি স্থান পেল দ্বিতীয় স্থানে।
আবুধারি আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে সহজ লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নিয়ে শুরুতেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে জাভেদ আহমাদিকে বোল্ড করেন মুজারাবানি। এরপর ইব্রাহিম জাদরানের ২৯ ও রহমত শাহের ৫৮ রানের ইনিংস জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় আফগানদের। আফগানিস্তানের ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়।