মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের করোনায় আক্রান্ত মাকে সহানুভূতি ও আবেগের জায়গা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেখতে গেছেন বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত সচিবের মায়ের দেখভালের জন্য তার চিকিৎসাসেবার মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরের ২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, সচিব আমাকে বলেছেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু কর্মকর্তা তার মাকে সহানুভূতি জানাতে গেছেন। এ ক্ষেত্রে উপচে পড়া ভিড় হওয়ার কারণে তারা নিজেরা পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে গেছেন সহানুভূতি জানাতে।
তিনি আরও বলেন, আমি সচিবের কাছে জানতে চেয়েছি যে কোনো কর্মকর্তাকে বাই রোটেশন ডিউটি করতে বলা হয়েছে কি না? তিনি বলেছেন, এটা সম্পূর্ণরূপে অসত্য। বাই রোটেশন তো দূরের কথা, অফিশিয়ালি কাউকে কিছু বলা হয়নি।
চিঠি ইস্যুর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সচিব বলেছেন, কেউ দেখাতে পারবে না যে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। চিঠি ইস্যু করা হলেও কারও না কারও সই থাকে, মেমো নম্বর থাকে, তারিখ থাকে, এগুলো কিছুই করা হয়নি। বোধ হয় ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে সচিব জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, এমন দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আদেশ বা নির্দেশনা জারি করা হয়নি। কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে কেউ এভাবে অনানুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তালিকা করেছেন কি না, সেটি দেখার বিষয়। তাঁর ভাষায়, সাধারণত শীর্ষ পর্যায়ের কেউ অসুস্থ বা বিপদে পড়লে অধীনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেখতে যান। তাঁদের সচিবের মা এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
সচিবের অসুস্থ মায়ের সেবায় ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী হাসপাতালে!
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এর খবরে বলা হয়, ওই সব দায়িত্ব দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পালা করে ২৩, ২৪ ও ২৫ তারিখে দায়িত্ব পালন করতে অনুরোধ করা হয়। হাসপাতালে যা শুরুও হয়। ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব সমন্বয় করছেন সচিবের একান্ত সচিব আজিজুল ইসলাম। এ বিষয়ে আজিজুল ইসলামের মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।