হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে রাতভর গুপ্ত অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে রকেট লঞ্চারের ১৮টি গোলা উদ্ধার করেছে বিজিবি।
বুধবার সকাল ১১টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএনএম সামীউন্নবী চৌধুরী বনের অভ্যন্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
এ সময় অন্যান্য কর্মকর্তাসহ বিজিবির শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রকেট লঞ্চারের গোলাগুলো অনেক পুরনো। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দেড় কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বনের ভেতরে মাটি খুঁড়ে এগুলো রাখা হয়েছিল। গোলাগুলো প্লাস্টিকের কাভারের ভেতরে পলিথিনে মোড়ানো ছিল। বিজিবি জানতে পারে- সন্ত্রাসীরা এগুলো এখানে এনে রেখেছে। এরপরই সেখানে অভিযান শুরু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও এর সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়েছে বিজিবি।
এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে থেকে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ছয় দফা অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানগুলোতে তারা ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৯টি মেশিনগান, আটটি ম্যাগজিন, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, নয়টি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট, ২৫০ গুলি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও, এসএমজি ও এলএমজির আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড গুলি, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ড নয় হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট, ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট ও ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করে।