আপনার স্কুলের শুরুর গল্প বলুন?
শুরুটা পুরান ঢাকার নারিন্দায় ১৯৫৪ সালে। তখন ওই এলাকার মধ্যে মানুষের চাহিদা ছিল। এত স্কুল ছিল না। আর ওখানে এখন আমাদের টেকনিক্যাল স্কুল আছে। ওখানেই প্রথম শুরু হয় সেন্ট যোসেফ স্কুল। বিদেশি ব্রাদাররা শুরু করেন। তখন ব্রাদাররা ঢাকা শহরে জায়গা খোঁজেন। বর্তমানের এই জায়গা পাওয়ার পর ১৯৯৬ সালে এখানে বিল্ডিং করে সেন্ট যোসেফ স্কুল নিয়ে আসা হয়।
কয় শিফটে পড়ানো হয়?
দুটি শিফটে ক্লাস হয়। সকালের শিফট সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস। তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এটি ন্যাশনাল কারিকুলাম। দ্বিতীয় শিফট দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই শিফটে ক্যামব্রিজ কারিকুলাম পড়ানো হয়। এ ছাড়া লিটারেসি স্কুলের ক্লাস হয় ২টা ৩০ থেকে ৫টা পর্যন্ত।
অন্য স্কুলগুলোর তুলনায় আপনার স্কুলের বিশেষত্ব কী?
বিশেষত্ব আমরা জানি না। আমরা তো একই বই পড়াই। সব সময় আমাদের চেষ্টা থাকে শৃঙ্খলামাফিক সব কিছু করা। নিয়ম-কানুন সবার জন্য সমান। সেটা করতে গিয়ে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তার পরও আমরা সেটা করতে চেষ্টা করি। শিক্ষার্থী যাতে কোনোভাবেই অন্যায্যতার শিকার না হয়, সেটা খেয়াল করি।
অনেকেই উচ্চহারে টিউশন ফি আদায় করে। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?
মানসম্মত শিক্ষা চাইলে দক্ষ শিক্ষক লাগবে, তাঁদের ট্রেন্ড-আপ করতে হবে এবং এটার জন্য অর্থ লাগবে। যেমন—কেমব্রিজ কারিকুলামে আমরা বেতন একটু বেশি নিই। সেখানে যে শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ছে, তার জন্য স্পেশাল ক্লাস দিচ্ছি। ক্লাসের জন্য টাকা লাগে, সেটা আমরা শিক্ষককে দিচ্ছি। শিক্ষকের তো বলার কিছু নেই। কিন্তু ন্যাশনাল কারিকুলামে সেটা করতে পারছি না। একে তো এক ক্লাসে ছাত্রসংখ্যা বেশি, তারপর পিছিয়ে পড়লে যে স্পেশাল ক্লাস দেব, সেটা তো পারছি। শিক্ষককে দিয়ে কাজ করালে তাঁকে তো সম্মানী দিতে হবে। কোথায় সেটা পাব। কিন্তু আমার বেতনটা যদি একটু বেশি নেওয়া যেত, তাহলে এ কাজটা করতে পারতাম।
আপনাদের এখানে ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে চাই।
আমাদের এখানে ক্লাস থ্রিতে মেইন ভর্তি। সাধারণত অক্টোবর মাসে আমরা ফরম ছেড়ে দিই। তারপর ইন্টারভিউ ও লিখিত পরীক্ষা হয়। এর জন্য বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসি। আমাদের কোনো শিক্ষক থাকেন না। শুধু আমরা ব্রাদাররা থাকি। পরীক্ষা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই খাতা কারেকশন করা হয়। তারপর মার্কিং করে রেজাল্ট দেওয়া হয়।
একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে আর কোনো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন?
বছরে প্রতিটা ক্লাসের জন্য পিকনিক থাকে। যখন পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়, তখন কিছু কিছু জিনিস আমরা করে থাকি। যেমন—বার্ষিক পরীক্ষার পর স্কাউট ক্যাম্প রয়েছে। অনেক সময় খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।
আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলুন।
আমাদের ছাত্র বেড়ে গেছে। আমাদের ফ্যাসিলিটিস বাড়ানো প্রয়োজন। এর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দশতলা বিল্ডিং এবং একটি মাল্টিপারপাস বিল্ডিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।