সুস্থ সংস্কৃতির চর্চায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে একাত্তরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়। তাদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের সংস্কৃতিতে এটা বৈচিত্র্য যোগ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বুধুড়িয়ার লক্ষীডাঙ্গায় ‘নৃ-গোষ্ঠীর কারাম উৎসব’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
চন্দননগর ইউনিয়ন আদিবাসী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিশ্ব মিত্র মারডির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মন, নিয়ামতপুর আদিবাসী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিষদ মনি টপ্প্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান বিপ্লব ও চন্দন নগর ইউনিয়নের সভাপতি বদিউজ্জামান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নতুন প্রজন্মকে সমাজের মূল স্রোতে আনতে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেও নৃ-গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতির বিকাশ ও লালনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে এখানকার নৃ-গোষ্ঠীর তরুণ তরুণীদের নিয়ে একটি সাংস্কৃতিক দল গঠন করা হয়েছে। এ অঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
দিনব্যাপী কারাম উৎসবে দশটি দল অংশ নেয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ওঁরাও সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব কারাম। ওঁরাওদের গ্রামে গ্রামে কারাম বৃক্ষের (খিলকদম) ডাল পূজাকে কেন্দ্র করে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই কারাম উৎসব উদযাপন করা হয়।