রাজধানী আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে (এনসিএইচটিআই) কেনাকাটায় অনিয়মের প্রেক্ষিতে সাত ডাক্তার, তিনজন ঠিকাদারসহ মোট ১১জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হতে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ লংঘন করে এমআরপি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্য তালিকা মোতাবেক মেডিসিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মেডিক্যাল অ্যান্ড সার্কিটের মূল্য তালিকা মোতাবেক সার্জিক্যাল আইটেম ক্রয় করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করে। দণ্ডবিধি ৪০৯৪২০১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের সুপারিশ করা হয়েছে।
চার্জশিট ভুক্ত আসামিরা হলেন-মেসার্স মনার্ক অ্যাস্টাব্লিশমেন্টের স্বত্বাধিকারী ফাতেনূর ইসলাম, নাফিসা বিজনেস কর্নারের স্বত্বাধিকারী শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), সান্তনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজামুর রহমান চৌধুরী, মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সভাপতি ডা. ইসরাত জাহান, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. পারভীন হক চৌধুরী, প্রাক্তন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজা খাতুন, প্রাক্তন সহকারী কো-অর্ডিনেটর ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, সাবেক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাইফুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার (শিশু) ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আকতার, মেডিক্যাল অফিসার ও বাজার দর যাচাই কমিটির সভাপতি ডা. নাজরীনা বেগম ও সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম।