নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির (সেজান জুস) কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনের কারখানার মালিকের অনিয়মসহ সরকারি সংস্থার গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদনে ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
রবিবার রাত ৯ টার দিকে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম ব্যাপারী ৫ আগস্ট ৪৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে কারখানার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ্য রয়েছে। কলকারখানা অধিদপ্তরের গাফিলতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অবগত করবে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বলেন, ওই কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তরের সদন ছিল না, বিল্ডিং কোড ছিল না, ফায়ার সার্ভিসের এনওসি পাওয়া যায়নি। সেই সাথে ফায়ার সেফটি ছিল না। এসবসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে কারখানার মালিকের অনিয়ম পাওয়া গেছে তদন্তে।
ডিসি আরও বলেন, প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট যদি ঠিকঠাক ভাবে মনিটরিং করত, তাহলে সেখানে শিশু শ্রম থাকত না, বিল্ডিং কোডে অসংগতি থাকত না। ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকত। তাদের মনিটরিংয়ের কমতি আছে। যেহেতু তারা অন্য মিনিস্ট্রিতে কাজ করে, সেহেতু এই বিষয়গুলো আমরা কনসার্ন মিনিস্ট্রিকে বলব। আমরা এগুলো কেবিনেট, লেবার মিনিস্ট্রি এবং কনসার্ন মিনিস্ট্রিতে পাঠাব। তারা এগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। নিচতলার সেন্ট্রাল রুমে শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের প্রথম সুপারিশে বলা হয়েছে যে, সেখানে শিশু শ্রম ছিল, শিশু শ্রম যাতে করে বন্ধ করা হয় এ ধরনের কারখানা গুলোতে। দ্বিতীয়ত, যারা মারা গেছে শ্রম আইন অনুসারে তাদের ২ লাখ টাকা এবং যারা আহত হয়েছে তাদের আড়াই লাখ করে টাকা যেন মালিক পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়। বিল্ডিং কোড মানা, অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র আরও বেশি রাখা এবং প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপণ দল কারখানায় রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।