তাইজুলের আউটে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের ৪৪ রানসহ বাংলাদেশ ২০১ রানের লিড দিয়েছে। জয়ের জন্য পাকিস্তানকে করতে হবে ২০২ রান। আর বাংলাদেশের চাই ১০ উইকেট। হাতে এখনো আজ দিনের দেড় সেশন ও কাল শেষ দিন পুরো বাকি।
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংসে ৩৩০/১০
বাংলাদেশ: দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭/১০
ফিরলেন লিটন-রাহী, আফ্রিদির ৫
২০০ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের লিড
লিটনের দশম হাফসেঞ্চুরি, আউট সোহান
লড়াই করে ফিরলেন লিটন
প্রথম ইনিংসে বিপদের সময় দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন দলে ব্যাটিং বিপর্যয়। এবারও লিটন হাল ধরলেন। হাফসেঞ্চুরি করে দলকে এনে দিয়েছেন ২০০ রানের লিড। শেষ পর্যন্ত আউট হন শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। রিভিউ নিয়েছিলেন লিটন, কিন্তু লাভ হয়নি। ৮৯ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। দুর্দান্ত লিটন দাস তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারে দশম হাফসেঞ্চুরি। ৮৩ বলে ৫টি চারের মারে দেখা পান অর্ধশতকের। এর আগে প্রথম ইনিংসে দেখা পেয়েছিলেন অভিষেক সেঞ্চুরির। লিটনের ফিফটির পরেই আউট হন নুরুল হাসান সোহান। ভেঙে যায় ৩৮ রানের জুটি। ৩৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
লিটন-সোহানের ব্যাটে তাকিয়ে বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টের সবকিছু এখন নির্ভর করছে লিটন দাস-নুরুল হাসানের ব্যাটে। তাদের ব্যাট হাসলেই যে হাসবে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভিত গড়ে দিয়েছিলেন লিটন, দ্বিতীয় ইনিংসেও বিপদের মুহূর্তে দারুণ ভূমিকা পালন করছেন। সঙ্গে আছেন ইয়াসির আলীর কনকাশন সাব সোহান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরে দুজনে খেলছেন দারুণভাবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের লিড ১৭৩।
১৫৯ রানের লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান তোলে। দিনের শুরুতেই ফেরেন মুশফিক। এরপর ইয়াসির-লিটনের জুটিতে দেখা যায় সম্ভাবনা। এই জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। ইয়াসির মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার কনকাশন বদলি হিসেবে নামেন নুরুল হাসান সোহান। মাঝে লিটন-মিরাজ জুটি থেকে আসে ২৫ রান। মিরাজ ফেরেন ১১ রান করে। এখন মাঠে আছেন লিটন-সোহান। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান। প্রথম ইনিংসের ৪৪ রানসহ বাংলাদেশের লিড দাঁড়ালো ১৫৯ রান।
আউট মিরাজ, নামলেন কনকাশন সাব সোহান
সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন মেহেদি হাসান মিরাজ। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন মিরাজ, তবে লাভ হয়নি। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ১১ রান। ব্যাটিং করতে আসেন ইয়াসিরের কনকাশন বদলি সোহান।
দেড়শ ছাড়ালো বাংলাদেশের লিড
দিনের শুরুতে মুশফিক ফেরার পরও লিটন-ইয়াসিরের দারুণ ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। লিড ছাড়িয়ে যায় ১০০। কিন্তু মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইয়াসির। এরপর মাঠে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু রানের চাকা থামেনি। লিটন-মিরাজের জুটিতে এবার দেড়শ ছড়ালো বাংলাদেশের লিড। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত আসে ২৫ রান। বাংলাদেশের লিড ১৫৯ রান।
মাঠ ছাড়লেন ইয়াসির, কনকাশন বদলি সোহান
দুর্দান্ত খেলছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। লিটন দাসের সঙ্গে বড় জুটির সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন, ঠিক তখনি শাহীন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে মাথায় আঘাত পান অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার। এরপর ১ ওভার খেললেও পরে মাঠ ছেড়ে উঠে যান। ব্যাটিংয়ে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬টি চারের মারে ৭২ বলে ৩৬ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ইয়াসিরের কনকাশন বদলি হিসেবে মাঠে নামবেন নুরুল হাসান সোহান।
১০০ রানের লিড ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ
জয়ের জন্য বাংলাদেশের লিড বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ৪৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল স্বাগতিক দল; কিন্তু সেই সুবিধা আদায় করে নিতে পারছেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে ধস সামলেছিলেন মুশফিকুর রহিম-ইয়াসির আলী। চতুর্থ দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। এখন ইয়াসিরের সঙ্গে আছেন লিটন দাস। দুজনের ব্যাটে ইতিমধ্যে ১০০ রানের লিড ছাড়িয়েছে।
প্রথম বলে চার, তৃতীয় বলে বোল্ড মুশফিক
চতুর্থ দিনের প্রথম বলে হাসান আলীকে চার মেরে শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এক বল ডট দিয়ে তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। হাসানের হাফ ভলি বলে দৃষ্টিনন্দন ফ্লিকে মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিন শুরু করেছিলেন মুশফিক, এমন সাবলীল শুরুতে ভালো কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশা মিইয়ে যায় এক বল পরেই। ৩৩ বলে ১৬ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস ক্রিজে এসেছেন, তার সঙ্গে আছে গতদিনের অপরাজিত ইয়াসির আলী।
মুশফিকদের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম টেস্টে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। তার ঘূর্ণিতে কার্যত অসহায় ছিল বাবর আজমের দল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছোঁয়ার আগেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ৪৪ রানে এগিয়ে থেকেও সুবিধা করতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। ধস নামে ব্যাটিংয়ে। স্বস্তির বিষয় এখনো ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গে আছেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী রাব্বি। এখনো ব্যাটিংয়ে নামেননি লিটন দাস। প্রথম ইনিংসের মতো মুশফিকরা পারবেন ব্যাট হাতে ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়াতে?
তৃতীয় দিন শেষে ৮৩ রানের লিড
৪৪ রানে এগিয়ে থেকে স্বস্তিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বেশিক্ষণ স্বস্তি থাকেনি। ২৫ রানে হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। পরে খেলার দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। দুজনে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে দিন শেষ করে আসেন। আলোক স্বল্পতার কারণে এদিনও খেলা শেষ হয়েছে আগে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রান। মুশফিক ১২ ও ইয়াসির ৮ রানে অপরাজিত আছেন। ইতিমধ্যে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশে। এই ম্যাচের ফল হবে নিশ্চিত। বাংলাদেশকে ভালো কিছু আশা করতে হলে অবশ্যই ব্যাট হাতে দারুণ খেলতে হবে মুশফিকদের। নাহয় হারের গল্প লেখা হয়ে যাবে দ্বিতীয় ইনিংসেই। দিনের শেষ সেশনে মাত্র ১৯ ওভার খেলা হয়েছে। এতেই নাই হয়ে যায় ৪ উইকেট। শাহিন আফ্রিদি একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। তার বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।