মালয়েশিয়ায় জনশক্তি প্রেরণের পদ্ধতি চুড়ান্ত হচ্ছে। আগামী ২৮ মে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির এসওপি (স্টান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর সভা) হতে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমান এজেন্সির মাধ্যমে নাকি সকল রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত প্রক্রিয়ায় বাজার চালু হবে তা দুই দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের এই সভায় চুড়ান্ত হবে বলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, অবশেষে মালয়েশিয়া পক্ষের ইচ্ছা অনুযায়ী ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সী অর্থাৎ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মি প্রেরণ করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমান এজেন্সির মাধ্যমে অর্থাৎ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মি প্রেরণের পক্ষে রয়েছে একটি গ্রুপ। আরেকটি গ্রুপ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। সিন্ডিকেট গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন, বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন। সিন্ডিকেট বিরোধী গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন, বায়রার সাবেক সভাপতি নূর আলী ও আবুল বাশার।
জনশক্তি রপ্তানিকারকেরাও দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। দুই পক্ষের বিবাদে প্রায় ৪ বছর ধরে বৃহৎ শ্রম রপ্তানিবাজার মালয়েশিয়া চালু করা যাচ্ছে না। ইতোপূর্বে ১০ রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার বন্ধ রয়েছে। নতুন করে কর্মি পাঠাতে গত ডিসেম্বরে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। তবে কর্মি পাঠানোর প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা যায়নি।
বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকদের মধ্যে বিভক্তি ও বিরোধ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। দুই পক্ষ সভা সেমিনার করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। গত ২৪ মে রাজধানীর একটি হোটেলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বন্ধ শ্রম বাজার উন্মুক্তে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভার আরোজন করে সিন্ডিকেট গ্রুপ। এর আগে গত শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে গোল টেবিল আলোচনা করে সবার জন্য উন্মক্ত প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করার দাবি জানায় সিন্ডিকেট বিরোধী জোট।
সিন্ডিকেটের পক্ষের সভায় বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলেন, সবচেয়ে আকর্ষণীয় শ্রম বাজার মালয়েশিয়া। এই বাজার চালু হওয়ার সময় এলে একটি গোষ্টি বাজার বন্ধের অপচেষ্টা চালান। দেশের স্বার্থে যেকোন প্রক্রিয়ায় বাজার চালু করা দরকার। সীমিত নাকি সবার জন্য উন্মুক্ত, এরচেয়ে মূখ্য হল বাজার চালু করা। ওই সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রচুর কর্মির চাহিদা রয়েছে, কিন্তু কর্মি প্রেরণে পদ্ধতি ঠিক করতে না পারার কারণে কর্মি প্রেরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে সিন্ডিকেট বিরোধি সভায় দাবি করা হয়, নির্দিষ্ট পরিমান ব্যক্তি মালয়েশিয়ায় কর্মি প্রেরণের সুযোগ পেলে আবারও দূর্নীতির ঘটনা ঘটবে। অভিবাসন ব্যয় অত্যধিক বেড়ে যাবে। বাকী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।