বাংলাদেশে অতিসম্প্রতি সংঘটিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে জানিয়ে কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম শাখা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় কবিড-১৯ এর সতর্কতা মেনে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য-এ সহকারী হাইকমিশনার নাজমুল হকের কাছে কনজারভেটিব ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ বার্মিংহাম-মিডল্যানডস শাখার চেয়ারম্যান জান্নাতুল চৌধুরী তামান্না, সৈয়দ এলাহী হক সেলু এবং তুহিন চৌধুরী স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অভাবনীয় অগ্রগতি, প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশকে মানবিক রাষ্ট্রে পরিণত করাসহ চলমান মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলা করে অর্থনীতির স্রোতকে স্বাভাবিক রেখেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। বর্তমানে এ দেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি মাথাপিছু জিডিপি অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে প্রশংসার দাবী রাখে।
একটি দেশের সক্ষমতা যাচাইয়ে এগুলোর পাশাপাশি জননিরাপত্তা, আইনের শাসন ও জাতীয় সুরক্ষা একান্ত প্রয়োজন। যেটি আপনার সরকার করে যাচ্ছে। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন হওয়া স্বত্বেও প্রবাসীবান্ধব আপনার সরকারের কিছু কিছু অসফল ভূমিকা আমাদের ব্রিটিশ-বাঙালী তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তাই শিকড়ের সন্ধানে তাদেরকে দেশের প্রতি আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা আমাদের প্রতিনিয়ত হোঁচট খাচ্ছে! সাম্প্রতিক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এবং দেশের পর্যটন কেন্দ্রসহ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণ ও ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করার প্রত্যাশা আহত হয়ে তারা বাংলাদেশ বিমুখ হয়ে পড়েছে। ফলে অভিভাবকরা হয়ে পড়েছি উদ্বিগ্ন ও দিশেহারা।
এমতাবস্থায়, আইনের যথাযথ প্রয়োগসহ নারী নির্যাতন রোধ ও জননিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমাদের ব্রিটিশ-বাঙালী প্রজন্মকে শিকড়ের সন্ধানে ব্রতী হতে উৎসাহিত করলে আমরা চিরকৃতজ্ঞ হবো এবং আমাদের সাধ্যমত সার্বিক সহযোগিতা প্রদানে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো- বলা হয় স্মারকলিপিতে।