শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

কমেছে মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৩৬ পাঠক পড়েছে

লকডাউন ও রোজার শুরুতে মানুষ কেনাকাটা বেশি করায় বেড়েছিল সব ধরনের সবজির দাম। তবে এখন আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা কমে গেছে, তাই দামও কমেছে। তবে এখনও অধিকাংশ সবজির দাম হাতের নাগালের বাইরে। স্বস্তি কেবল মুরগিতে।

শুক্রবার রাজধানীর মুগদা ও বাসাবো এলাকার বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মুগদার সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি করেছি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। আজ প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা। শসা এখন দুই ধরনের- একটা ৫০ টাকা কেজি, আরেকটা ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি ৭০ টাকায়। এরকম বেশিরভাগ সবজির দামই কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।

এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। কচুর লতি, বরবটি ও করলা বিক্রি করছে ৬০ টাকায়। পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা। লাউ ও চালকুমড়া আকার ভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। লেবু হালিপ্রতি আকার ভেদে ২০ থেক ৪০ টাকা। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, ধনে পাতা ও পুদিনা পাতা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। পুঁইশাক, লাউশাক, কলমীশাক, ডাঁটাশাক, লালশাক ও পাটশাকের আটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।

বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। মো. সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজার আগে দাম বেশি ছিল। কেজি ১৭০ টাকাও বিক্রি করছি। এখন সব বন্ধ। হোটেল রেস্টুরেন্টও আগের মতো খুলতে পারে না; তাই চাহিদা কম। আজ ব্রয়লার ১৩০ টাকা। সোনালিকা (কক) ২৫০ টাকা, লেয়ার (লাল) ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

মুগদা কাজারে মুরগি কিনতে আসা জাকির নামের এক ক্রেতা জানান, সব কিছুর দামই চড়া। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। মাছের দামও বেশি। তবে এখন মুরগির দাম একটু কম, এটাই স্বস্তি।

শুক্রবার মুগদা এলাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায় আর খাসির মাংসের কেজি ৮৫০ টাকা। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।

এদিকে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ। শুক্রবার প্রতি কেজি রুই, কাতলা ২৫০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৬০, আইড় ৪০০-৫০০ টাকা, মেনি মাছ ৩০০-৩৫০, বাইলা মাছ প্রকার ভেদে ২৫০-৪০০ টাকা, বাইন মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২৮০-৩০০ টাকা, পোয়া ৩০০-৪০০ টাকা, মলা ২৮০-৩৬০ টাকা, পাবদা ২৫০-৩৫০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৫০০ টাকা, শিং ও দেশি মাগুর ৪০০-৫০০, শোল মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, টাকি মাছ ৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ৭০০ থে‌কে ৮০০ গ্রা‌মের ইলিশ মাছ বি‌ক্রি হ‌চ্ছে ৪০০ থে‌কে ৫০০ টাকায়।

মুদি ব্যবসায়ী আল-আমিন জানান, পেঁয়াজ আগের দামেই রয়েছে ৩৫ টাকা। দেশি আদা ও রসুন ৮০ টাকা এবং রসুন চায়না ১১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডাল ১০০ টাকা এবং মোটা দানা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, মটর ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা আর খেসারি ৮০ টাকা, ডাবরি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া অ্যাংকর ডালের বেসন ৬০ টাকা, বুটের ডালের বেসন ১০০ টাকা।

খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন তেল কোম্পানি ভেদে বিক্রি হচ্ছে এক লিটার ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৬৪০ থেকে ৬৬০ টাকা। প্রতি কেজি খুচরা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩২ থেকে ১৩৫ টাকা আর পামওয়েল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580