শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

করোনায় মাছ বিক্রি করছেন অভিনেতা

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
  • ২৯৫ পাঠক পড়েছে

মহামারী করোনা অনেককে বসিয়েছে পথে, বানিয়েছে কর্মহীন। দফায় দফায় শুটিং বন্ধ হওয়ার ফলে কলকাতার নামি অভিনেতা শ্রীকান্ত মান্নাও পড়েন বিপাকে। তাই তিনি পেটের দায়ে আজ মঞ্চ, শুটিং ফ্লোরের অপেক্ষা ছেড়ে মাছ নিয়ে বাজারে বসছেন। দীর্ঘ ২৫ বছরের অভিনয়জীবন তার। ‘সংস্তব’ নাট্য দলে নিয়মিত অভিনয় করতেন শ্রীকান্ত। এছাড়াও বহু বাংলা ছবি, মেগা সিরিয়াল ও শর্ট ফিল্মে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। এক সময়ে মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তীর, আবির চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় বড় অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। তার সংসার চলত অভিনয় থেকে উপার্জিত টাকাতেই।

কিন্তু অগত্যা পেটের দায়ে বেছে নিয়েছেন নতুন পেশা। অভিনেতা থেকে তিনি আজ মাছ বিক্রেতা। কোনও কাজকেই ছোট মনে করেন না তিনি। শ্রীকান্ত মান্না বলেন, অভিনয় আমার মনের খিদে মেটায় আর মাছ বিক্রি আমার পেটের খিদে মেটাচ্ছে। দুটোই কাজ। রকমটা আলাদা শুধু। প্রথম প্রথম যখন বাজারে বসতাম মুখ ঢেকে রাখতাম ভালো ভাবে, যাতে কেউ আমায় চিনতে না পারে। বাড়ি গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মেকআপ হীন ‘আমি’কে দেখতাম। একদিন ভাবলাম, আজ যদি এরকম কোনও রোল আমাকে মঞ্চে বা অনস্ক্রিনে করতে হতো, তখন যদি এরকম আমার লজ্জা লাগত কিংবা ইতস্তত করতাম তা হলে তো চরিত্রটা থেকে পরিচালক আমায় বাদ দিয়ে দিতেন। বের করে দিতেন ফ্লোর থেকে। এই অভিনেতা আরও বলেন, সে দিনের পর থেকে আর আমি লজ্জা পাই না। মাছ বিক্রি করছি বলে আমার কোনও লজ্জা নেই। আফসোসও নেই। কারণ আমার পেটের জ্বালা মিটছে আজ এই পেশাতেই। যখন কাজকর্ম হারালাম আর চলছিল না সংসার তখন ঠিক করেছিলাম এমন একটা রাস্তা বের করব যেটাতে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারব। ২০২০ থেকে আজ অবধি যে দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা দিন কাটাচ্ছি তাতে অনেকেই পেশা বদলে অন্য চাকরি করছেন কেউ বা ব্যবসা করছেন। শ্রীকান্ত বলেন, চাকরির চেষ্টা করিনি, কারণ আমি জানি একদিন না একদিন আবার চরিত্র মিলবে, মঞ্চের পর্দা উঠবে, সেদিনও আমি চাকরিটা ছাড়ব না। কারণ দুঃসময়ে যে কাজটা আমাকে অন্ন জোগাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া মানে বেইমানি করা। ভোর ৫ টা থেকে বেলা ১২ টা কি বড়জোর দুপুর ১ টা অবধি কাজ করার পর আমি ফ্রি। তখন আমি বাড়ি ফিরে গান শোনা, সিনেমা দেখা এগুলো আজ করতে পারি। অভিনয়ের সুবাদে অনেকে আপনাকে চেনে। তাদের মধ্যে কেউ আপনাকে দেখে চিনতে পারেনি? তাদের কাছ থেকে কীরকম প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রীকান্ত বলেন, প্রথমে অবাক হয়েছেন। পরে উৎসাহ দিয়েছেন। বলেছেন, আমরাও ভালভাবে বাঁচার জন্য অন্য আরও কোনও পথ খুঁজছি। পাড়া প্রতিবেশী, অভিনেতা বন্ধুরা, সাংবাদিকরাও আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন তারা আমার জন্য গর্বিত। আর কী চাই?

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580