রাজধানীর বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কাঁচা মরিচের যেন ঝাল বেড়েছে। গত সপ্তাহেই ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন হচ্ছে প্রায় চারগুণ বেশি দামে।
শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শুক্রাবাদ, পশ্চিম রাজাবাজার, সিপাহী বাগবাজার, মগবাজার, ফকিরাপুল ও যাত্রাবাড়ীর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।
বাজারগুলোয় ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে সোনালী মুরগি ও লাল লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও রাজধানীর বাজারগুলোয় এসব মুরগির দাম এমনটাই দেখা গেছে। সেই সঙ্গে খাসি ও গরুর গোশতের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহে ৫৭৫ থেকে ৬০০ টাকা কেজি গরুর গোশত এবং ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি করে খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে।
সিপাহী বাগবাজার এলাকায় বাজার করতে আসা মাহাদী হাসান নামের এক ক্রেতা জানান, ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। তবে সোনালি মুরগির দাম কমেনি। আমি ২৩০ টাকা কেজি করে সোনালি মুরগি কিনেছি।
এদিকে কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় চারগুণ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা নুরুল আমিন জানান, গত সপ্তাহেও কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি কিনেছি। কিন্তু আজ সেই কাঁচা মরিচের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৩০ টাকা। হঠাৎ করেই কেন কাঁচা মরিচের এত দাম বাড়লো তা বুঝতেছি না।
তবে রাজধানীর বাজারগুলো সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, কাঁচকলা ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি, কাঁচা পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি করে।