কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮৩তম দিনে দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এদিন নতুন ১৩৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯১২ জন।
এই সময়ে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ২১৪ জন। এর আগে গত ২৮ জুন দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল আট হাজার ৩৬৪ জন। গত ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল ১৩২ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২২ হাজার ৬৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় ছয় হাজার ২১৪ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ছয় হাজার ৪৬৪টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৮১টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন নয় লাখ ৩৬ হাজার ২৫৬ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৭৭ জনসহ মোট আট লাখ ২৯ হাজার ১৯৯ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৩৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৮৪ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারী। তাদের মধ্যে ১২৭ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ১০৭ জন, বেসরকারীতে ২০ জন) ও বাড়িতে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৪ হাজার ৯১২। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৮০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং চার হাজার ৩৩২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩৪ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১০ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬৫ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩৯ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে ১৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে চারজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৩৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ৮৩ লাখের বেশি।