দক্ষিন আফ্রিকায় বাঙালী সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের হাতে নিহত হাফিজ উল্লা রানার হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন নিহতের ভাই মোঃ জাফর ইকবাল।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার ভাইয়ের খুনিদের শাস্তি দাবী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে কতিপয় প্রবাসী বাংলাদেশী। যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া নবাগত বাংলাদেশীদের কখনো জিন্মি করে, আবার কখনো প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।
গত ৩ মে দক্ষিণ আফ্রিকা ফ্রি স্টেট প্রোভিন্সের কোয়া কোয়া এলাকা থেকে নিখোঁজের পর খুন হন বাংলাদেশ কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুল্লাহ রানা।
আর এই খুনের সাথে রানার ব্যবসায়িক পার্টনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলে রানার পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জাফর ইকবাল আরো বলেন, রানা ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। সে কোয়া কোয়া কোয়া প্রদেশের কেস্টেল টাউনে বসবাস করতেন। সেখানে প্রবাসী বাংগালি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে অংশিদারিত্বে ব্যবসা শুরু করেন। সততা ও সুনামের সাথে ব্যবসা করে রানা তার ব্যবসায়িক পরিধি বাড়িয়ে তোলেন। মুনাফা ও গড়ে তোলেন। প্রায় ৬ কোটি টাকা পুঁজি দাড় করান।
গত ২ মে তার লভ্যাংশ থেকে ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ( প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন আফ্রিকান রেন্ড) আব্দুল্লা আল মামুনের একাউন্টে (সার্চের মাধ্যমে) জমা করেন রানা। এর পরদিনই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন রানা। মামুনপর সহযোগী রায়হান শরীফ ও নাদিম নামে অপর এক প্রবাসী বাংলাদেশীকে স্থানীয় পুলিশ গ্রেফতার করলে তারা অপহরনের কথা স্বীকার করে।
কিন্তু মামুন ও বাবলু তাদের জামিনে মুক্ত করে আনে।
জাফর ইকবাল আরো জানান, অপহরনকারীরা রানার মুক্তিপন হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দাবী করে। মুক্তিপনের বিনিময়ে রানাকে উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন তার পরিবার। কিন্তু অপহরনকারীরা নানান টালবাহানা করতে থাকে।
জাফর আরো জানান, অপহরনের প্রায় এক মাস পর ক্ষতবিক্ষত একটি মৃতদেহের ছবি পাঠিয়ে তাকে জানানো হয় রানা মারা গেছে। লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনও করা হয়।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি বলেন, হত্যাকারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করায় হত্যাকারিরা তাকে এবং তার পরিবারের লোকজনদের নানা ভাবে আফ্রিকা থেকে হুমকি দিচ্ছে।
হত্যাকারিদের গ্রেপ্তারের জন্য নিহতের ভাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল শাখার (দক্ষিন আফ্রিকার) সহায়তা চান জাফর ইকাবাল ও তার পরিবারের অসহায় সদস্যরা।