মূলধারায় বাংলাদেশিদের উত্থানের ক্ষেত্রে আকতার হোসেন বাদল তথা মৌ হোসেনের নাম অনেক আগেই জানা গেছে। সেই বাদল এবার যুক্ত হলেন শ্বেতাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে।
নিউইয়র্ক স্টেটের লং আইল্যান্ডে কপেইগ চেম্বার অব কমার্সের ৫ পরিচালকের একজন হিসেবে ২২ জুন শপথ নেন তিনি। এসময় উপস্থিত সকলে অবাক বিস্ময়ে অভিবাদন জানিয়েছেন চাঁদপুরের সন্তান বাদলকে।
উল্লেখ্য, গত ৪ বছরে লং আইল্যান্ডে তিনটি ব্যবসার মালিকানা ক্রয় করেছেন আকতার হোসেন বাদল। সেই সুবাদে এলাকাবাসীকেও আপন করে নিয়েছেন। আচার-আচরণে হিসপ্যানিক এবং শ্বেতাঙ্গরাও তাকে আপন ভাবতে শুরু করেছেন বলেই চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হতে পারলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বাদল বলেন, বহুজাতিক সমাজে নিজের অবস্থান সুসংহত করতে দরকার সকলের সাথে উদারচিত্তে মেলামেশা। আমি সেটি করছি। কারণ আমাকে অনেক দূর যেতে হবে।
বাদল স্টুডেন্ট ভিসায় তিন দশক আগে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর লেখাপড়া সম্পন্ন করে ব্রঙ্কসের একটি জুতার দোকানে কাজ নিয়েছিলেন। সেই কাজের মাধ্যমে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির সাথে গড়ে উঠে। সেই সুবাধে কন্সট্রাকশন কন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত দেড় দশকে কাজ-ব্যবসার ফাঁকে বাংলাদেশের কল্যাণের পরিপূরক বিভিন্ন সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন কংগ্রেসে ও স্থানীয় প্রশাসনে। এখনও সে ধারা অব্যাহত রেখেছেন এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সত্যিকার অর্থে কিছু করতে মার্কিন রাজনীতির সাথে ঘনিষ্ঠতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন আকতার হোসেন বাদল। তিনি বলেন, চেম্বার অব কমার্সের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসনে ঘনিষ্ঠতা অর্জন করা সহজ হবে। আমি প্রবাসীদের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি সবসময়। কারণ যেখানেই থাকি হৃদয়ে লাল-সবুজের বাংলাদেশকেই ধারণ করি।
উল্লেখ্য, কপেইগ চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী কমিটির সদস্য ৩৫। তবে ৫ পরিচালকের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী এবং নাগরিকদের মধ্যেকার সম্প্রীতির বন্ধন সুসংহত করে পারস্পরিক সহায়তায় সকলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্যে কাজ করার সংকল্পে।
এদিকে, শ্বেতাঙ্গ ব্যবসায়ীগণের সংগঠনে বাংলাদেশি তথা প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে পরিচালকের আসনে ঠাঁই করে নেয়া আকতার হোসেন বাদলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশি নির্মাণ ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।