গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানা শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক ও নৌব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
রোববার তিনি বলেন, আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলবে। পূর্বঘোষণা অনুসারে, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলার কথা ছিল। শ্রমিকেরা সবাই আসতে না পারায় লঞ্চ চলাচলের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী সব শিল্প কলকারখানা খুলে দেওয়র ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় কর্মজীবী শ্রমিকদের ঢল নামে। তাদের কেউ হেঁটে, কেউ ট্রাকে, কেউ বিকল্প কোনো যানে ঢাকামুখী যাত্রা শুরু করেন।দিনভর শ্রমিকের এই ভোগান্তির পর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর সরকার জানায়, শ্রমিকদের চলাচলের জন্য রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস, লঞ্চসহ গণপরিবহন চলবে। এখন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের সময়সীমা বাড়ানো হলো।
রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ৮টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। অন্য গন্তব্য থেকে সদরঘাটে এসেছে ৬টি লঞ্চ। তবে এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের লঞ্চই বেশি ছিল। এই সময়ে বরিশাল থকে কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসেনি। দেশের অন্য কোনো জেলা থেকে কোনো লঞ্চ সদরঘাটে এসে পৌঁছায়নি।