ঢাকাই সিনেমার মন্দ অবস্থা চলছে বেশ অনেক বছর ধরেই। তবে চলতি বছরটা সিনেমার জন্য বেশ ভালো যাবে বলে শুরুতে আশা করেছিলেন চলচ্চিত্রকর্মীরা। করোনা মহামারীর রেশ থাকায় চলতি বছরে সিনেমার শুরুটা ছিলো বেশ হতাশার। তবে শেষ দিকে এসে বেশ কিছু ভালো সিনেমা মুক্তি পায় এবং দর্শক হলমুখী হতে শুরু করে। সেদিক থেকে শেষটা বেশ আশা জাগানিয়া বলা-ই যায়।

চলতি বছরে সিনেমা মুক্তির তালিকায় রয়েছে ৩২টি সিনেমা। তবে বছরের শুরুটাই হয়েছিল মানহীন সিনেমা দিয়ে। বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি মুক্তি পায় রবিউল ইসলাম রাজ পরিচালিত ‘কেন সন্ত্রাসী’ সিনেমাটি। এরপর ‘রংবাজি-দ্যা লাফাঙ্গা’, ‘তুমি আছো তুমি নেই’, ‘নারীর শক্তি’, ‘হৃদয়ের আঙ্গিনায়’ সহ অনেকগুলো মানহীন সিনেমা মুক্তি পায়। এরপর মার্চের দিকে কিছু ছবি দর্শক প্রশংসিত হয় যেমন- অলাতচক্র (১৯ মার্চ), স্ফুলিঙ্গ (২৬ মার্চ), প্রিয় কমলা (২৬ মার্চ), টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই (২ এপ্রিল)। তবে সেগুলো খুব একটা আলোচনা তৈরি করতে পারে নি।

এরপর বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে ওটিটিতে মুক্তি পায় শাকিব খানের সিনেমা নবাব এলএলবি, যা নিয়ে রীতিমত তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা তৈরি হয়। পরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও বেশ সুবিধা করতে পারেনি সিনেমাটি, তবে ছবিতে শাকিবের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। এরপর সিনেমার জন্য বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখার মত কাজ করে আজমেরী হক বাঁধনের সিনেমা ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ যা রীতিমত বিশ্ব জয় করে। ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে জায়গা করে সিনেমাটি। পরে নভেম্বরে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েও প্রশংসিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশ বিদেশে অর্জন করেছে নানা পুরস্কারও। এই সিনেমা দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান বাঁধন।

এরপর আরিফিন শুভর ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমা দিয়ে দর্শক আবারও হল্মুখী হতে শুরু করে। ছবিটি দর্শকমহলে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের দুটি সিনেমা ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘কালবেলা’ মুক্তি পায়। দর্শক প্রশংসিত হলেও সারা ফেলতে পারেনি তেমন। এরপর বছরের শেষ সপ্তাহে মুক্তি পায় সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘মৃধা বনাম মৃধা’ সিনেমা, যা দর্শকমহলে দারুণ প্রশংসিত। বলা হচ্ছে, তার ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত সেরা সিনেমা এটি। এছাড়াও বছরের শেষ দিনে মুক্তি পাবে দুটি সিনেমা ‘চিরঞ্জীবী মুজিব’ ও ‘রাত জাগা ফুল’। এ ছবি দুটিও বেশ আশা জাগানিয়া বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।