শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

সুত্রাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে চলছে হরিলুট

শেখ নাজমুল
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১
  • ১৯৪ পাঠক পড়েছে

‘‘সুত্রাপুর সাব-রেজিষ্ট্রার আজমল ও ওমেদা আবুল দূর্নীতি: সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব

সুত্রাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়েনা। খাস কামরায় জমি রেজিষ্ট্রি ও একাধিক দালালের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামজারী ছাড়াই প্রতিদিন রেজিষ্ট্রি হচ্ছে একাধিক দলিল। বিভিন্ন অজুহাতে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ টাকা সাব-রেজিষ্ট্রার আজমল হোসেন। ফলে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জানা গেছে, সুত্রাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের অধীনে একই জমি একাধিক বার বিক্রি করে সাব-রেজিষ্ট্রারের যোগসাজসে গুটিকয়েক দলিল লেখক এর সহযোগিতায়। সুত্রাপুর অফিস থেকে দালালের মাধ্যমে ভূয়া দলিল সম্পাদন করেন সাব-রেজিষ্টার নিজেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। সুত্রাপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে ঘুষ ছাড়া কোন দলিল হয় না এমনকি নড়েনা ফাইলও।

চাহিদা মত ঘুষের টাকা পেলে খাজনা খারিজ ছাড়াই যে কোন জমির দলিল সম্ভব। কারণ সুত্রাপুর সাব রেজিষ্ট্রার আজমল হোসেন তার চাহিদা মত টাকা না পেলে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে দলিলেই স্বাক্ষর করেন না। যে কারনে, একই জমি একাধিক বার বিক্রির অভিযোগেরও শেষ নাই। সুত্রে জানা যায় সাব-রেজিষ্ট্রার আজমল হোসেন বিগত কিছু দিন আগে বেসিক বিল্ডার্সে এমডি, ইঞ্জিনিয়ার লতিফ এর কাছ থেকে বাড্ডা এলাকায় ৪৪শত ফিট ফ্ল্যাট চুক্তিপত্র করেছেন তার শাশুরির নামে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। এভাবে অবৈধ টাকার প্রভাবে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন সাব-রেজিষ্ট্রার আজমল হোসেন। জমি ক্রয় করলেই উক্ত দালাল চক্রের মাধ্যমেই রেজিষ্ট্রিও করাতে হয়। সাব-রেজিষ্ট্রার আজমল হোসেন এর সঙ্গে দালাল চক্রের রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। তারা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে সাব-রেজিষ্টার আজমল হোসেন কে ম্যানেজ করে সঠিক কাগজ পত্র ছাড়াই নিয়মিত জমি রেজিষ্ট্রি করেন। এ ক্ষেত্রে দলিলের সকল সনদ ফটোকপি দেখে মিউটিশন খাজনা-খারিজ বা বি,এস, আর,এস রেকর্ডের মূল কপিও প্রয়োজন পড়েনা। শুধু চাহিদা মাফিক নির্দিষ্ট অংকের ঘুষ দিলেই সকল অবৈধ কাজ বৈধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে গত ১৫-০৭-২০২১ইং বৃহস্পতিবার দুপুরে সুত্রাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তথ্য সংগ্রহে গেলে আরো জানা যায়, এ অফিসের ৫/৭ জন দালাল রয়েছে। যাদের মাধ্যমে সাব রেজিষ্টার আজমল হোসেন দলিল দাতা ও গ্রহিতাদের কাছ থেকে কাগজপত্র সঠিক নেই সহ বিভিন্ন অজুহাতে দেখাচ্ছেন পরবর্তীতে ওমেদার আবু দলিল লেখকদের নিয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার এর খাস কামরায় গিয়ে উক্ত দলিলে একটি চিহ্ন দিলে ঐ দলিলটি সাব-রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। সাব-রেজিষ্টারকে অবৈধ ঘুষ লেনদেনে প্রত্যক্ষ সহযোগী হিসেবে ওমেদার আবুল। যার দৈনিক হাজিরা পান ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা কিন্তু এই পথে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন, একটি বিশ্বস্থ সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ জনগনের সঙ্গে প্রতারনা করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে সাব-রেজিষ্টার আজমল হোসেন একেবারেই নিরব। কারণ আজমল হোসেন এর ঘুষের টাকা লেনদেন করেন এই ওমেদার আবুল মাধ্যমেই। নাম না প্রকাশের শর্তে ও অফিসে কর্মরত একাধিক নকল, নবিশ এই প্রতিবেদ কে জানান আবুল একজন অস্থায়ী (ওমেদার) অথচ তার কর্মকান্ডে মনে হয় সে এই অফিসের বড় কোন কর্মকর্তা। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, সাব-রেজিষ্ট্রি আজমল হোসেন কে ম্যানেজ করে দলিল রেজিষ্ট্রি থেকে শুরু ঘুষ লেনদেন ও ঘুষের টাকা হাতিয়ে নেন ওমেদার আবুল। অভিযোগ রয়েছে দলিলের কাগজপত্র সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তারপরেও সাব-রেজিষ্ট্রারকে ম্যানেজ করা বাবদ দলিল প্রতি ৫/১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে থাকেন ওমেদার আবুল।

কখনও কখনও সাব-রেজিষ্টার আজমল হোসেন নিজে দলিল দাতা ও গ্রহীতার কাছ থেকে সরাসরি তার খাসকামরায় বসে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নকল নবিশগণ আজকের সংবাদকে জানান সকল প্রকার ঘুষ লেনদেন হয় এই আবুল এর মাধ্যমে বলে তারা জানায় আরো জানান আবু নিজেকে মস্তবড় অফিসার ভাবেন তার হাভ-ভাব দেখে আমরা হতভাগ হয়ে যাই। আমরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাই না কারন সে সাব-রেজিষ্টারের খাস লোক। তবে ওমেদার আবুল সংবাদ কর্মী নাম ধারী কিছু ব্যক্তিদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে থাকে। যা সরকারের উচ্চ পর্যায় ও দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক তদন্ত করলেই থলের বিড়াল রেড়িয়ে আসবে। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে সাব-রেজিষ্টার আজমল হোসেন এর সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করাতে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580