কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের জোয়ারিয়ানালা বনবীটের আওতাধীন ২০০০ সালে সৃজিত ৪০ হেক্টর বনভূমির সেগুনবাগান নিয়ে চলছে দুবৃর্ত্তায়ন। খোদ রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তা যোগসাজশ করে দিনে এবং রাতে মুল্যবান সেগুন গাছ বিক্রয় করে দিচ্ছে।
বনবিভাগের আওতাধীন রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে হরিলুট করা হলেও বিভাগীয় বন কর্মকর্তাও এর ভাগ পাওয়ায় নিরব দর্শক হয়ে আছে বলে অভিযোগ।এরআগে এই সেগুন বাগানের পাহারাদার ছিলেন স্থানীয় নজির আলম নামের এক ব্যক্তি।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেগুন বাগান পাহারাদার নজির আলম বনবিভাগের পক্ষ হয়ে কাঠ চোরাকারবারীদের কাছ থেকে টাকার লেনদেন করে আসছিল।
সেগুন বাগানের গাছ লুঠের কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হেডম্যান বশির আহমদ, বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে পাহারাদার নজির আলমের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে তাকে পাওনা বেতন না দিয়েই পাহারাদার কাজ থেকে তাড়িয়ে দেন রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটু। এছাড়াও সেগুন গাছ বিক্রি কাজে প্রত্যক্ত সহযোগিতাকারী পাহারাদার নজির আলম জোয়ারিয়া নালা রেঞ্জ ও বনবিট কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে ৪০ একর বন ভুমি দখল করে সেখানে লেবু বনায়ন গড়ে তুলে।ক্ষুদ্ধ বনকর্মীরা এই নজির আলমের লেবু বাগানের প্রায় ১০ লাখ লেবু সহ ৫ হাজার লেবু গাছও কেটে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।
এমনকি লেবু বাগান কেটে দিয়ে ক্ষান্ত হননি বন কর্মীরা। তার বিরুদ্ধে উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম (ডিএফও) ৪ টি এবং বনবিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটিসহ মোট ৫ টি মামলা দায়ের করে পাহারাদারকে ঘরছাড়া করা হয়েছে।এরপর হেডম্যান বশিরের যোগসাজশে বনকর্মীরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ মুল্যবান সেগুন গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করা তিনি এবিষয়ে কথা বলতে জারি হয়নি। জোয়ারিয়া নালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটু বলেন, সেগুন বাগারে গাছ লুট করে বিক্রি কারা ঘটনা ডিএফও স্যার অবগত আছে।