করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। এর আওতায় জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান চলাচলেও বিধিনিষেধ জারি রয়েছে।
অবশ্য লকডাউনের চতুর্থ দিনে রোববার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা-কোনোটাই কমেনি; বরং তা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ এলো করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির কাছ থেকে।
করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা সমকালকে বলেন, ‘আমরা শুরুতেই দুই সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেই বিজ্ঞানসম্মতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। পরামর্শক কমিটি এখনও মনে করে চলমান বিধিনিষেধ বিজ্ঞানসম্মতভাবেই আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো উচিত।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই দুই সপ্তাহের পরামর্শ দিয়ে রেখেছি। কারিগরি পরামর্শক কমিটির সবাই তাতে এখনও একমত রয়েছেন। এখন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ফের তা এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরমর্শ দিচ্ছি।’
সরকারের সূত্রগুলো বলছে, এখনও কঠোর লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বর্তমান সংক্রমণ ও মৃত্যুহারসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান এই বিধিনিষেধের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় গত ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে তা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ-র্যাব ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। ঢাকাসহ সারাদেশেই অপ্রয়োজনে লোক চলাচল বন্ধে সেনা ও বিজিবি টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
জরুরী সেবা কার্যক্রমের বাইরে চলমান এই লকডাউনে শিল্পারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার্গো ভেসেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে। বিমান, সমুদ্র, নৌ, স্থল বন্দর ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রয়েছে।